1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুয়ায় আসক্ত হয়ে মাকে গলা কেটে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় : ১০-০৩-২০২৪ ০৫:৪৪:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১০-০৩-২০২৪ ০৫:৪৪:১৩ অপরাহ্ন
জুয়ায় আসক্ত হয়ে মাকে গলা কেটে হত্যা, ছেলের মৃত্যুদণ্ড

সিরাজগঞ্জ সদর প্রতিনিধি: ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত হয়ে ঘুমন্ত মাকে (৬৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে তার ছেলে নাহিদ ইমরান নিয়নকে (৩৯) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা আসামির উপস্থিততে এ আদেশ দেন। নাহিদ ইমরান নিয়ন সদর উপজেলার খোর্দ্দ শিয়ালকোল গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হকের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মুজিব সড়কস্থ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পাশে নিজ বাসা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোজাম্মেল হকের স্ত্রী সাবেক স্বাস্থ্য পরিদর্শিকা রশিদা খানমের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে নাছিম ইমরান নিশাত বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরণে তিনি উল্লেখ করেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে তার বড় ভাই নাহিদ ইমরান নিয়নকে চাদর গায়ে দিয়ে বাড়ির বাইরে বের হয়ে যেতে দেখেন ভাবি পিংকি খাতুন। পরে পিংকি শাশুড়ি রশিদাকে কয়েকবার ডেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন তার গলা কাটা মরদেহ। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি (নিশাত) লোকমুখে জানতে পারেন যে তার বড় ভাই নিয়ন জুয়া খেলায় জড়িত হয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছেন। এ কারণে তিনি তার মাকে হত্যা করে থাকতে পারেন। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে আসে নাহিদ ইমরান নিয়ন ক্রিকেট জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেক টাকা ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েন। ঋণের কারণে তিনি হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি তার মা রশিদা খানমের কাছে টাকা দাবি করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মা-ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই একপর্যায়ে নিয়ন মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত মায়ের গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যান ।

ঘটনার পর থেকে দীর্ঘদিন পালিয়ে ছিলেন তিনি। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রোববার আদালত এ রায় ঘষনা করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ